আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)ছবি: রয়টার্স
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের কাছ থেকে বাড়তি ৩০০ কোটি বা ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাড়তি এই সহায়তা অনুমোদনের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে আইএমএফ। এই সহায়তা পেতে যেসব সংস্কার প্রয়োজন, তার বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান অর্থ উপদেষ্টা।
আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমানে ৪৭০ কোটি ডলারের একটি ঋণ কর্মসূচি চলমান রয়েছে। এর মধ্যে তিন কিস্তিতে সংস্থাটির কাছ থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পাওয়া গেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এই ঋণের আকার আরও ৩০০ কোটি ডলার বাড়িয়ে মোট ঋণ ৭৭০ কোটি ডলারে উন্নীত করতে চায়।
গত বৃহস্পতিবার আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করেন অর্থ উপদেষ্টা। বৈঠকে অর্থসচিব মো. খায়রুজ্জামান মজুমদারও অংশ নেন।
সেই বৈঠকের উল্লেখ করে আজ সাংবাদিকেরা জানতে চান, সরকার আরও ৩০০ কোটি ডলার ঋণ চাইলে তা পাওয়ার সম্ভাবনা কতখানি কিংবা তাতে আইএমএফের অবস্থান কী হবে। জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবারের বৈঠকে আইএমএফ জানতে চেয়েছিল যে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের শর্ত অনুসারে অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরিকল্পনা করছে কি না। এ বিষয়ে আমি আশ্বস্ত করেছি; বলেছি সংস্কারকাজ বাস্তবায়ন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এবং আমরা ব্যর্থ হব না।’ ওই বৈঠকে নতুন করে আরও ৩০০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা চাওয়ার বিষয়ে আইএমএফকে ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে জানান সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এ বিষয়ে তারা (আইএমএফ) খুবই ইতিবাচক।
অর্থ উপদেষ্টা আরও জানান, আগামী অক্টোবরে ওয়াশিংটনে আইএমএফের পরিচালনা পর্ষদের সভা হবে। সেখানে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন তিনি। এ ছাড়া চলতি সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে বাংলাদেশে আইএমএফের একটি পর্যালোচনা মিশন আসার কথা রয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টার কাছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নিয়ে জানতে চান সাংবাদিকেরা। এ প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প চলবে। বাংলাদেশ রাশিয়ার কাছে ঋণ পরিশোধ শুরু করার আগে দুই বছর মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছিল। বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত এ ব্যাপারে খুবই ইতিবাচক।
তবে রুশ রাষ্ট্রদূত রূপপুর প্রকল্প অব্যাহত রাখা ও ঋণ পরিশোধ নিয়ে চিন্তিত জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি তাঁকে আশ্বস্ত করেছি যে আমরা নিয়মিত ঋণের কিস্তি পরিশোধ করব।’